নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
অল্প পূঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকেরা। ইতোমধ্যে জেলার গৌরনদী উপজেলার একাধিক কৃষক পতিত জমিতে কুল চাষ করে স্বাবলম্ভী হয়েছেন। চারা রোপনের মাত্র এক বছরের মধ্যে ফলন ও কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরা এখন কুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বেজহার গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক কুল চাষীর সফলতা দেখে তিনি নিজ বসতঘরের পাশের ২০ শতক পতিত জমিতে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে গত বছর ১৫০টি বলসুন্দরী জাতের কুল চারা রোপন করেছিলেন। মাত্র এক বছরের মধ্যে তার রোপিত সবগুলো গাছে কুল ধরেছে। ইতোমধ্যে বাগানের অর্ধেক কুল বিক্রি করে খরচের টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাছে এখনও বিপুল পরিমাণ কুল রয়েছে। তা বিক্রি করে তিনি লাভবান হতে পারবেন। মাহিলাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক ফকির, নাজমুল সরদার, খাঞ্জাপুর গ্রামের কৃষক ইউসুফ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর যাবত পতিত জমিতে তারা কুল চাষ করে আসছেন। কুল ও কলমের চারা বিক্রি করে তারা এখন পুরোপুরি স্বাবলম্ভী। কুল চাষে তাদের সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মিথুন বনিক বলেন, সঠিক সময়ে মাঠপর্যায়ে কুল চাষীদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি সরকারিভাবে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কুল চাষ লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন কুল চাষের দিকে ঝুঁকে পরেছেন।
Leave a Reply