কালকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী সস্ত্রীক বুধবার (৮ মার্চ) বরিশালের গৌরনদীর বার্থী গ্রামে থাকা তার পূর্ব পুরুষের বসতভিটায় ঘুরে গেছেন। এ সময় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটাতো নিজের শিকড়ে ফেরা। খুব ভালো লাগছে, এ এক অপূর্ব অনুভূতি। যা বলে বোঝানো যাবে না। সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার সকালে সড়ক পথে রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুর ১টার দিকে তিনি গৌরনদী উপজেলার বার্থী বাসস্ট্র্যান্ডে অবস্থিত বার্থী শ্রীশ্রী তারা মায়ের মন্দিরে(কালী মন্দির) পৌঁছান। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছরের পুরানো ওই জাগ্রত মন্দিরে সেবা ও পূজা পর্ব শেরে তিনি মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে কুশল মিনিময় করেন। এরপর তিনি বার্থী গ্রামে তার পূর্বপুরুষের বসত ভিটা মধু রায় চৌধুরীর বাড়িতে যান। স্ত্রী ও ঘনিষ্ট বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাড়ির চারিপাশ ঘুরে দেখেন। এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বার্থী এলাকা থেকে বিদায় নিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলায় মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কবি বিজয়গুপ্ত প্রতিষ্ঠিত মনসা মন্দির ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে বরিশাল শহরের উদ্দেশ্য রওনা হয়ে যান। বরিশাল সার্কিট হাউজে রাত্রি যাপন শেষে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাবেন। শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকা থেকে তার কোলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ সফরকালে বিচারপতির সফর সঙ্গী ছিলেন তার স্ত্রী অনুরাধা রায় চৌধুরী, ঘনিষ্ট বন্ধু আইনজীবী চন্দন মিত্র ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রটোকল অফিসার সুকুমার পাল প্রমুখ। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিস কুমার বলেন, পূর্ব পুরুষদের বসতভিটায় গৌরনদী উপজেলাবাসীকে গৌরর্ভীত করায় বিচারপতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
Leave a Reply