নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নিয়মিত প্রচারের অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন সেক্টরের সাফল্য ও উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বিশেষ ১০ উদ্যোগ ব্রান্ডিং, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহিলা সমাবেশ করা হয়। আগৈলঝাড়া উপজেলার ৪ নং গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে সোমবার মহিলা সমাবেশের আয়োজন করেন বরিশাল জেলা তথ্য অফিস। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন। বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো: রিয়াদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ৪ নং গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শফিকুল হোসেন ও আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো: গোলাম সরোয়ার। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য করেন সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রোজিনা আক্তার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ব্র্যান্ডিং করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের এর ব্র্যান্ডিং করতে হবে। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর এই ১০টি উদ্যোগের বিষয়ে সাধারণ জনগণের কাছে বলেন, এর বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেন, এটাই আমার আবেদন। তিনি বলেন, ১০ উদ্যোগের ম্যাচেজ যত বেশি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে ততই জনগণ সচেতন ও উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশকে ডিজিটালের আওতায় এনেছেন। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুত সরকারি দপ্তরের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অবদান। ৪ নং গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শফিকুল হোসেন বলেন, মাদক এমন একটি দ্রব্য, যা খেলে নেশা হয়। গাঁজা, ফেনসিডিল, চরস, ভাং, গুল, জর্দা, হেরোইন, প্যাথেড্রিন, মদ, ইয়াবাসহ সবই মাদকের অন্তর্ভুক্ত। যখন কেউ এসব দ্রব্যাদির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তখনই তাকে মাদকাসক্ত বলা হয়। নতুন করে যেন কোনো শিশু-কিশোর কিংবা উদ্বেলিত তরুণ-তরুণী মাদকের জালে জড়াতে না পারে সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। তারা যেন কৌতূহল কিংবা এক্সপেরিমেন্টেশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে এবং বন্ধুবান্ধব নির্বাচনে যেন সজাগ থাকে, এ জন্য মাদকের পরিণতি সম্পর্কে তরুন প্রজন্মের সাথে আগেই খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এ ছাড়া খেলাধুলাসহ শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সৃজনশীল বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে এখন থেকেই সব অভিভাবকদের সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রোজিনা আক্তার বলেন, গ্রামের মানুষের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বেশি সচেতন হয়েছে। মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। তবে আমরা সবাই যদি সচেতন থাকি, তাহলে বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হবে না। বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের শিক্ষার ওপর বেশি জোর দিতে হবে। আবার এ শিক্ষা কর্মক্ষেত্রে কতটা কার্যকর, সেটাও দেখতে হবে। মেয়েরা চাকরি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে কি না, সেটাও দেখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Leave a Reply